
প্রকাশিত: Thu, Jan 12, 2023 7:14 AM আপডেট: Sun, May 11, 2025 3:25 AM
দেশের কারিগরি শিক্ষাকে আরও শক্তিশালী করা দরকার
অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন
জার্মানির শিক্ষার মূল ধারাকে বলা হয়, জিমনাসিয়াম। কেন? কারণ এর গভীরতা, এর ডিফিকাল্টি লেভেল এতো উপরে যে এর মাধ্যমে ব্রেইনের ব্যায়াম হয়। এজন্যই এটিকে জিমনাসিয়াম বলে। এই জিমনাসিয়াম বা মূল ধারায় সবাই পড়তে পারে না। নবম/দশম শ্রেণী থেকেই বিভাজন হয়ে যায়। যারা অল্প লেখাপড়া করে কিছু করে খেতে চায় তারা টেকনিক্যাল বা কারিগরি ধারায় চলে যায়। একই রকম ব্যবস্থা সিঙ্গাপুরে। সেখানেও মূল ধারার শিক্ষায় খুব কমই আসতে পারে। আসতে হলে স্কুল লেভেলে ভালো করতে হবে বাকিরা টেকনিক্যাল ধারায় লেখাপড়া করবে। মূল ধারার লেখাপড়ার মানের সাথে কোন প্রকার কম্প্রোমাইজ চলে না বা চলতে দেওয়া হয় না। কারণ এই ধারার শিক্ষাই একটি দেশের বড় বিজ্ঞানী, বড় গবেষক, বড় দার্শনিক, বড় অর্থনীতিবিদ, বড় ডাক্তার তৈরি করে।
এজন্যই সিঙ্গাপুরের শিক্ষার মান এতো ভালো। ছোট একটি দেশে দুটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় আছে দুটোই বিশ্বমানের এবং একটিতো বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ১৯! এই জন্যই সিঙ্গাপুরের মন্ত্রিপরিষদের সবাই ক্যামব্রিজ/অক্সফোর্ড অথবা এমআইটি/হার্ভার্ড কিংবা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত। একটি দেশের সবাইকে তো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স-মাস্টার্স পড়ানোর দরকার নেই। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৮ শতাধিক জেলা উপজেলার কলেজগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স পড়ার সুযোগ দিয়েছি। অনার্স-মাস্টার্স পড়ানোর মতো শিক্ষক আছেন? পরিবেশ আছে? সুযোগ-সুবিধা আছে? কেন দিই? এরা অন্তত আপাত বেকার না থেকে কিছু একটা করছে সুপ্ত বেকার তৈরি করছি। যারা লেখাপড়া শেষে ভৎঁংঃৎধঃবফ হয়। কারণ এদের অধিকাংশই তো লেখাপড়া করার সুযোগই পেলো না। পেলো কেবল সার্টিফিকেট। এইসব না করে জার্মানি সিঙ্গাপুরের মতো আমাদের উচিত ছিলো, শিক্ষার মূল ধারার মানকে আরও শক্তিশালী করে বিকল্প হিসাবে টেকনিক্যাল বা কারিগরি শিক্ষাকে শক্তিশালী করা। আমরা এইটা না করে মূল শিক্ষার ধারাকেই কারিগরি লেভেলে নামিয়ে আনলাম। আহাম্মকি আর কাকে বলে! মূল ধারার শিক্ষা হবে সুদূর প্রসারী লাভের উদ্দেশে। কীভাবে ডাল রান্না করতে হবে, এইটা তো মূল ধারার শিক্ষার অংশ হতে পারে না। লেখক: শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
